Wellcome to National Portal
মেনু নির্বাচন করুন
Main Comtent Skiped

একটি বাড়ি একটি খামার
একটি বাড়ী একটি খামার ধারনা

 

একটি বাড়ী একটি খামার শীর্ষক প্রকল্পের সার সংক্ষেপঃ


১। প্রকল্পের নাম: একটি বাড়ী একটি খামার


২। উদ্যোগী মন্ত্রণালয়/বিভাগ: পল্লী উন্নয়ন ও সমবায় বিভাগ, স্থানীয় সরকার, পল্লী উন্নয়ন ও সমবায় বিভাগ


৩। বাস্তবায়নকারী সংস্থাঃ

 

ক. বাংলাদেশ পল্লী উন্নয়ন বোর্ড, বিআরডিবি (লিড এজেন্সী)
খ. সমবায় অধিদপ্তর
গ. বাংলাদেশ পল্লী উন্নয়ন একাডেমী (বার্ড), কুমিল্লা
ঘ. পল্লী উন্নয়ন একাডেমী, বগুড়া


৪। প্রাক্কলিত ব্যয়ঃ ১১৯৭.০০ কোটি টাকা


৫। প্রকল্পের অর্থায়নঃ বাংলাদেশ সরকার


৬। বাস্তবায়নকালঃ জুলাই, ২০০৯ থেকে জুন, ২০১৪


৭। প্রকল্প এলাকাঃ বাংলাদেশের ৬টি বিভাগের ৬৪ টি জেলার ৪৮২টি উপজেলা


৮। প্রকল্পের সংক্ষিপ্ত পটভূমিঃ

 

বাংলাদেশের প্রায় ৮০ শতাংশ লোক গ্রাম বাস করে। ভূমি এবং জনগণ হল পল্লী-অর্থনীতির মূল চাবিকাঠি। পল্লী অঞ্চলের উন্নয়নউপর দেশের সার্বিক উন্নয়ননির্ভরশীল। পল্লী অঞ্চলের প্রায় প্রত্যেক বাড়ীকে কেন্দ্র করে অব্যবহৃত জমি, উঠান, পুকুর/ডোবা, খাল ইত্যাদি এবং দক্ষ-অদক্ষ জনশক্তি, বেকার যুবক ও নারী রয়েছে। পাশাপাশি পল্লী অঞ্চলে সেবা সমপ্রসারণের নিমিত্ত বিভিন্ন জাতি গঠনমূলক বিভাগের প্রশিক্ষিত জনশক্তি রয়েছে। অর্থাৎ গ্রামে আমাদের ভূমি, শ্রম, পুঁজি মানব সম্পদসহ বিভিন্ন উপাদান এবং সম্পদ রয়েছে। যার সঠিক এবং যথাযথ ব্যবহার হলে স্থানীয় ও জাতীয় উন্নয়নে  ভূমি মকা রাখবে। সম্পদ ও জ্ঞানের সর্বোত্তম ব্যবহারের মাধ্যমে প্রতিটি বাড়ীকে আর্থিক কর্মকান্ডের কেন্দ্রবিন্দুতে পরিনত করা সম্ভব হবে। এতে জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের ধ্যান, ধারনা ও স্বপ্নের বাস্তবায়ন ত্বরান্বিত হবে। অন্যদিকে গণতন্ত্রের মানসকন্যা ও বর্তমান প্রধানমন্ত্রী জননেত্রী শেখ হাসিনার দিন বদলের সনদ বাস্তবায়নের পথ সুগম হবে।

 


কৃষক বাড়ীতে বিভিন্ন প্রকার শাক-সবজি, মাঠে শস্য, পুকুরে মাছ, বাড়ীতে হাঁস-মুরগী এবং গবাদী পশু পালন করে থাকে। পল্লী অঞ্চলে অতিরিক্ত শস্য উৎপাদন, মৎস্য চাষ, হাঁস-মুরগী এবং গবাদী পশু পালনের সুযোগ রয়েছে। ফলজ, বনজ ঔষধি গাছ সম্প্রসারণেরও অবারিত সুযোগ রয়েছে আমাদের গ্রামে। এসব কর্মসূচী বাস্তবায়নে গ্রামের প্রত্যেকটি বাড়ীতে অব্যবহৃত জমি, পুকুর/ডোবা ব্যাপক ভূমিকা রাখতে পারে। মৎস্য, হাঁস-মুরগী এবং গবাদী পশু পালনের মাধ্যমে আমিষের চাহিদা মিটানো যেতে পারে। বায়োগ্যাস ও সৌরশক্তি ব্যবহার গ্রামকে আলোকিত করতে পারে। সার্বিক বিবেচনায় প্রকল্পটি সফলভাবে বাস্তবায়ন করা গেলে গ্রামীণ জনগোষ্ঠীর বিশেষ করে হতদরিদ্র ও দরিদ্র জনগোষ্ঠীর আয় ও কর্মসংস্থানের সুযোগ বৃদ্ধি পাবে এবং সার্বিক গ্রাম উন্নয়নসম্ভব হবে।

 

আমাদের প্রায় ২২% গ্রামীণ পরিবারের প্রধান হচ্ছেন নারী। আলোচ্য প্রকল্পের আওতায় নারী শ্রমকে অধিকতর কার্যকরভাবে কাজে লাগানো হবে।


৯। প্রকল্পের উদ্দেশ্যসমূহঃ


-সামগ্রিক উন্নয়ন লক্ষ্যে প্রতিটি বাড়ীকে অর্থনৈতিক কর্মকান্ডের কেন্দ্রবিন্দু এবং প্রতিটি গ্রাম সংগঠন (Village Organization)-কে একটি স্বতন্ত্র অর্থনৈতিক ইউনিট হিসেবে গঠন;


-গ্রাম সংগঠন (Village Organization)-কে কার্যকর করার মাধ্যমে সমন্বিত গ্রাম উন্নয়ন নিশ্চিতকরণ;


-সম্পদ এবং স্থানীয় চাহিদা/সমস্যার ভিত্তিতে গ্রাম উন্নয়ন পরিকল্পনা প্রণয়ন;


-স্থানীয় সম্পদ আহরণ ও তার কাম্য ব্যবহার নিশ্চিতকরণ;


-উন্নয়নমূলক এবাং আয়বর্ধনমূলক কার্যক্রমে পল্লী দরিদ্র জনগোষ্ঠী বিশেষ করে মহিলাদের অংশগ্রহণ নিশ্চিতকরণ;


-দক্ষতা উন্নয়ন প্রশিক্ষণ এবং প্রশিক্ষণোত্তর সম্পদ সহায়তা প্রদানের মাধ্যমে পল্লী দরিদ্র ও চরম দরিদ্র জনগোষ্ঠীর আয় বৃদ্ধি, মৌলিক চাহিদা পূরণ ও দারিদ্র্য দূরীকরণ;


-কৃষি, প্রাথমিক স্বাস্থ্য সেবা, পয়:ব্যবস্থা, শিক্ষা, নিরাপদ পানি, বিদ্যুতায়ন এবং বসবাস উপযোগী পরিবেশ নিশ্চিতকরণের মাধ্যমে গ্রামীণ জনগণের জীবনযাত্রার গুণগত মান উন্নয়ন;


-উন্নয়ন ও আয়বর্ধক কর্মকান্ড বাস্তবায়নে মহিলাদের অংশগ্রহণ নিশ্চিত করা;


-গ্রামীণ পণ্য সামগ্রী সুলভমূল্যে বিপণনের জন্য সমবায়ভিত্তিক বাজার ব্যবস্থা প্রতিষ্ঠাকরণ;

 

-স্থানীয় সরকার ও জাতিগঠনমূলক বিভাগসমূহের সাথে গ্রাম সংগঠনগুলোর যোগসূত্র স্থাপনের মাধ্যমে উপকারভোগীদের মধ্যে বিভিন্ন ধরণের সেবা-সহায়তা প্রদান নিশ্চিতকরণ;

 

-জেন্ডার সংবেদনশীল ও কমিউনিটিভিত্তিক টেকসই আর্থ-সামাজিক উন্নয়নের লক্ষ্যে সহায়তা প্রদান;


-প্রকল্পের উদ্যোগে জরীপ, বাজার ও প্রকল্পের তথ্যের ভিত্তিতে Data Cetre এবং MIS স্থাপন; এবং


-গ্রামীণ পর্যায়ে দক্ষ ব্যবস্থাপনা কাঠামো সৃজনের মাধ্যমে উন্নত ঋণ ব্যবস্থাপনা, হিসাবরক্ষণ, তথ্য ব্যবস্থাপনাসহ সকল পর্যায়ে স্বচ্ছতা ও জবাবদিহিতা নিশ্চিতকরণ।

 

১o। প্রকল্পের মূল কার্যক্রমঃ

 

 

(ক) ভিত্তি জরিপ (Benchmark Survey) সম্পাদন: প্রকল্প এলাকার প্রতিটি পরিবারের আর্থ-সামাজিক অবস্থা নিরূপন,     স্থানীয় সম্পদ চিহ্নিতকরণ ও তা ব্যবহারের সর্বোত্তম উপায় উদ্ভাবন, মধ্যমেয়াদী ও বাস্তবায়ন পরবর্তী মূল্যায়নের উদ্দেশ্যে ভিত্তি জরীপ সম্পনড়ব করা হবে।


(খ) গ্রাম সংগঠন সৃষ্টি: পক্র ল্পটির অধীনে বাংলাদেশের ৪৮২টি উপজেলার ১৯৮২টি ইউনিয়ন (প্রতি উপজেলার ৪টি ইউনিয়ন) এর ৯৬৪০টি গ্রাম (প্রতি ইউনিয়নের ৫টি গ্রাম)- এ হতদরিদ্র, দরিদ্র ও পেশাজীবীর সমন্বয়ে প্রাথমিক পর্যায়ে অনুর্ধ ৬০টি খানার সদস্য নিয়ে গ্রাম সংগঠন(গ্রুপ/সমিতি) সৃষ্টি/গঠন করা হবে। পর্যায়ক্রমে গ্রামভুক্ত সকল পরিবারকে গ্রাম সংগঠনের আওতাভুক্ত করা হবে।


(গ) ডাটা সেন্টার ও টেলি সেন্টার স্থাপন: সরকারের রূপকল্প (ভিশন) ২০২১ এর আলোকে তথ্য প্রযুক্তিতে জিজিটাল বাংলাদেশ গড়ার লক্ষ্যে গ্রামীণ পর্যায়ে তথ্য আদান প্রদানের সুবিধার্থে প্রকল্প কার্যালয়ে ডাটা সেন্টার এবং প্রকল্পভূক্ত সকল উপলোয় (জেলাসহ) টেলি সেন্টার স্থাপন করা হবে যাতে কৃষি, স্বাস্থ্য,শিক্ষা,ব্যবসা ইত্যাদি ক্ষেত্রে গ্রামীন জনগণ ও সংশ্লিষ্ট সকলের তথ্য ও অন্যান্য সেবার প্রবেশাধিকার নিশ্চিত করা যায়।


(ঘ) কৃষি ও অকৃষি (Non-Farm) উৎপাদন বৃদ্ধি ও গ্রামীণ উৎপাদিত পণ্য বাজারজাতকরণ সুবিধা সৃষ্টি: কৃষি সেক্টর তথা শষ্য, মৎস্য, গবাদি পশু, অকৃষি কার্যμম উনড়বয়নের লক্ষ্যে প্রকল্প হতে প্রযুক্তি, উপকরণ ও প্রশিক্ষণ সহায়তা প্রদানের মাধ্যমে প্রতিটি বাড়িকে একটি লাভজনক অর্থনৈতিক ইউনিট হিসেবে গড়ে তোলার প্রচেষ্ট গ্রহণ করা হবে। অধিকন্ত, গ্রামীণ উৎপাদিত পণ্য বাজারজাতকরণের লক্ষ্যে প্রকল্পের উদ্যোগে জেলা/উপজেলা পর্যায়ে সমবায়ভিত্তিক বিপণন কেন্দ্র (Marketing Center) স্থাপন করা।


(ঙ) পুঁজি গঠন ও বিনিয়োগ বৃদ্ধি: গ্রামীণ সংগঠন(গ্রুপ/সমিতি) এর সদস্যগণের সাপ্তাহিক সঞ্চয় শেয়ারের মাধ্যমে প্রায় ১১৬ কোটি টাকা নিজস্ব পুঁজি (Capital) সৃষ্টি হবে যা তাঁরা উৎপাদান/আয় বৃদ্ধিমূলক কার্যক্রম অথবা সদস্যদের মাঝে ঋণ হিসেবে বিনিয়োগ এবং এ থেকে অর্জিত আয় সদস্যদের মাঝে লভ্যাংশ হিসেবে বিতরণ এবং উন্নয়ন কর্মকান্ডে ব্যবহার করতে সক্ষম হবে।


(চ) দক্ষতা বৃদ্ধিমূলক প্রশিক্ষণ ও কর্মশালা আয়োজন: প্রকল্পের উদ্যোগে পেশাগত ও দক্ষতা উনড়বয়নমূলক প্রশিক্ষণ প্রদান ছাড়াও ওয়ার্কসপ/সেমিনার/ মাঠ দিবস আয়োজন করা হবে। এছাড়াও প্রকল্পের তথ্য ও ফলাফল স্থানীয় ও জাতীয় পর্যায়ে সমপ্রসারণ/প্রচার করা হবে।


(ছ) কর্মসংস্থান সৃষ্টি, সক্ষমতা বৃদ্ধি ও দারিদ্র্য হ্রাসকরণ: প্রকল্পের উদ্যোগে দক্ষতা বৃদ্ধিমূলক প্রশিক্ষণ এবং প্রশিক্ষণোত্তর আয় বৃদ্ধিমূলক কর্মকান্ডে আর্থিক সহায়তা, সম্পদ সহায়তা (Assets Support) প্রদানের প্রেক্ষিতে গ্রামীণ জনগণের সক্ষমতা বৃদ্ধির ফলে তাদের কর্মসংস্থানের সুযোগ সৃষ্টিসহ আয় বৃদ্ধি পাবে। প্রকল্পের মাধ্যমে ৫৭৮৪০০ দরিদ্র পরিবারকে সহায়তা হিসেবে বিভিন্ন ধরনের সম্পদ যেমন-গাভি, ছাগল, কৃষি উপকরণ, ইকো-সেনিটেশন, টিন, DTW/HTW, সোলার প্যানেল, গাছের চারা ইত্যাদি প্রদান করা হবে। এ সকল কার্যক্রমের ফলে প্রকল্পের সূফলভোগীদের আয়/উপার্জন বৃদ্ধি পাবে ও দরিদ্রতা হ্রাস পাবে।

 

(জ) কার্যকর প্রতিষ্ঠানিক সম্পর্ক স্থাপন: এ প্রকল্পের প্রাতিষ্ঠানিক কাঠোমোর মাধ্যমে স্থানীয় সরকার ও জাতিগঠনমূলক বিভাগসমূহের সাথে গ্রাম সংগঠনগুলোর যোগসূত্রতা স্থাপনের ফলে প্রকল্পের সূফলভোগীগণ বিভিনড়ব ধরনের সেবা-সাহয়তা প্রাপ্তির সুযোগ পাবে। সংগঠনের মাধ্যমে গ্রামীণ জনগণের স্বাস্থ্য সেবা, পয়:ব্যবস্থা,শিক্ষা,নিরাপদ পানি, পরিবেশ বান্ধব প্রযুক্তি ইত্যাদি প্রাপ্তির ফলে তাঁদের জীবনযাত্রার মান উণ্ণয়নে সহায়তা করবে।


(ঝ) অনগ্রসর এলাকা এবং জেন্ডার উণ্ণয়ন: প্রকল্পটিতে অনগ্রসর এলাকা উণ্ণয়নের জন্য থোক বরাদ্দ রাখা হয়েছে। এছাড়া, প্রকল্পের সুফেলভোগী হিসেবে ৩০%-৪০% মহিলা এবং মহিলা প্রধান খানাকে অন্তর্ভুক্ত করা হবে। ফলে পিছিয়ে থাকা জনগোষ্ঠীর উণ্ণয়ণমূলক ও আয়-বৃদ্ধিমূলক কর্মকান্ডে অংশগ্রহণ নিশ্চিত হবে।


(ঞ) অংশগ্রহণমূলক উণ্ণয়ন পরিকল্পনা প্রণয়ন: প্রকল্পের উদ্যোগে সৃষ্ট গ্রাম সংগঠন বিভিণ্ণ পেশাজীবীকে সংগঠিত করার মাধ্যমে তাদের সক্রিয় অংশগ্রহণ,স্থানীয় সম্পদ আহরণ এবং স্থানীয় চাহিদা/সমস্যার আলোকে স্থানীয় উণ্ণয়ন পরিকল্পনা প্রণয়ন ও বাস্তবায়ন সহজতর হবে।


১১। প্রকল্পের প্রাতিষ্ঠানিক কাঠামো ও বাস্তবায়ন কৌশলঃ গ্রামীণ পর্যায়ে সংগঠন সৃষ্টির মাধ্যমে পল্লীবাসীদেরকে সংগঠিত করে স্থানীয় সম্পদ আহরন ও ব্যবহার এবং তাঁদের সক্রিয় অংশগ্রহণের মাধ্যমে প্রকল্পের কার্যক্রমসমূহ বাস্তবয়ন করা হবে। প্রকল্পের কার্যক্রমসমূহ পল্লী উণ্ণয়ন ও সমবায় বিভাগের অধীনস্থ ৪টি সংস্থা যেমন: বাংলাদেশ পল্লী উণ্ণয়ন বোর্ড (বিআরডিবি) প্রকল্প বাস্তবায়নে লিড এজেন্সী হিসেবে কাজ করবে। সমবায় অধিদপ্তর, বাংলাদেশ পল্লী উণ্ণয়ন একাডেমী (বার্ড), কুমিল্লা এবং পল্লী উণ্ণয়ন একাডেমী (আরডিএ), বগুড়া সহায়তাকারী প্রতিষ্ঠান হিসেবে প্রকল্পের কার্যক্রম বাস্তবায়নে সরাসরি সম্পৃক্ত হবে। বার্ড, কুমিল্লা প্রকল্পের জরীপ ও গ্রাম তথ্য বই প্রণয়ন, প্রশিক্ষণ চাহিদা নিরূপণ, প্রশিক্ষণ হ্যান্ডবুক, সহায়কের গাইড বই প্রণয়ন এবং প্রশিক্ষণ কোর্স সংগঠনের দায়িত্ব পালন, আরডিএ, বগুড়া প্রশিক্ষণ কোর্স সংগঠন ও প্রকল্পের মূল্যায়ন এবং সমবায় অধিদপ্তর সাংগঠনিক ও আইনগত সহায়তা প্রদানে ভূমিকা পালন করবে। তাছাড়াও বিআরডিটিআই, সিলেট এবং বঙ্গবন্ধু পল্লী দারিদ্র্য বিমোচন প্রশিক্ষণ কমপ্লেক্স, গোপালগঞ্জ এ দুটি প্রতিষ্ঠান প্রকল্পের বিভিণ্ণ প্রশিক্ষণ প্রদানের দায়িত্ব পালন করবে। সরকারের জাতিগঠনমূলক বিভাগ প্রকল্প কার্যক্রম বাস্বায়নে প্রত্যক্ষ সহায়তা প্রদান করবে। প্রকল্প বাস্তবায়নে নিম্নে উল্লেখিত কৌশলসমূহ অনুসৃত হবে:

 


ক) প্রাথমিক পর্যায়ে প্রকল্পভুক্ত প্রতিটি গ্রামের অনুর্ধ ৬০টি হতদরিদ্র, দরিদ্র ও পেশাজীবী পরিবার নিয়ে গ্রুপ/সমবায় সমিতি গঠনের মাধ্যমে গ্রাম সংগঠন সৃষ্টি করা হবে;


খ) সংগঠনের সদস্যগন সঞ্চয় ও শেয়ারের মাধ্যমে নিজস্ব পুঁজি সৃষ্টি করবে এবং তা লাভজনক খাতে বিনিয়োগ বা সদস্যদের ঋণ প্রদান ও এলাকার উণ্ণয়নে ব্যবহার করবে;


গ) সংগঠনের সদস্যগনকে সচেতনামূলক,দক্ষতা ও আয়-বর্ধন, প্রশিক্ষণ প্রদান, প্রশিক্ষণোত্তর আর্থিক ও সম্পদ/উপকরণ সহায়তা প্রদানের মাধ্যেমে কর্মসংস্থান সৃষ্টি, উৎপাদন ও আয় বৃদ্ধি এবং দারিদ্র্য হ্রাস করা;


ঘ) সংগঠনের সদস্যদেরকে তাঁদের উৎপাদিত শষ্য ও অন্যান্য পণ্য বাজারজাতকরণে সহায়তা প্রদানসহ জেলা/উপজেলা পর্যায়ে বিপণন কেন্দ্রস্থাপন করা;


ঙ) প্রকল্পের ব্যবস্থাপনা সুদৃঢ় করা এবং সংশ্লিষ্ট সকলের তথ্যের প্রবেশাধিকার নিশ্চিত করার জন্য প্রকল্প কার্যালয়ে Data Center এবং প্রকল্পভুক্ত সকল জেলা, উপজেলা পর্যায়ে Tele Centre স্থাপনসহ MIS পদ্ধতির প্রবর্তন;


চ) গ্রাম পর্যায়ে সেবা সহাযতা প্রদানের লক্ষ্যে সংগঠনের উদ্যোগে গ্রাম উন্নয়ন কর্মী যেমন: স্বাস্থ্য ও পরিকল্পনা কর্মী, কৃষি কর্মী, সেচ কর্মী, পশু সম্পদ উন্নয়ন কর্মী ইত্যাদি সৃষ্টি করা;


ছ) স্থানীয় সম্পদ আহরণ ও ব্যবহারের ক্ষেত্রে জনঅংশগ্রহণ নিশ্চিত করা, স্থানীয় পরিকল্পনা প্রণয়ন ও বাস্তবায়নে সুশাসন নিশ্চিত করা।